কলকাতা: ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ খোলা থেকে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন। বিতর্কে সেনা। আর তার আঁচ বিধানসভায়। ভাষা সন্ত্রাস নিয়ে আলোচনার সময়ই সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপির স্লোগান। সাসপেন্ড শুভেন্দু অধিকারী। আর তারপরই বিধানসভায় ওয়াকআউট বিজেপি বিধায়কদের। তৃণমূল ভারতীয় সেনাকে অপমান করছে বলে স্লোগান। অন্যদিকে শুভেন্দুরা মিথ্যা প্রচার করছে বলে অভিযোগ ব্রাত্যর।
উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। একদিকে তৃণমূল, অন্যদিকে বিজেপি। মাঝে সেনা বাহিনী। মেয়ো রোডে তৃণমূলের ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ খুলে দেওয়ায় গতকালই আসরে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সেনাকেও বিজেপি কাজে লাগাচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে তৃণমূল। এরমধ্যেই আজ রাইটার্সের সামনে একটি সেনা ট্রাক বিপজ্জনক ভাবে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে। অল্পের জন্য সংঘর্ষের হাত থেকে বেঁচে যায় পুলিশ কমিশনারের গাড়ি।
আরও পড়ুন: সেনাকে অপমান নিয়ে শুভেন্দুর অভিযোগের পাল্টা দিলেন ব্রাত্য, সমর্থন শোভনদেবের
এই পরিস্থিতিতেই আজ শুরু হয় বিধানসভার অধিবেশন। সেখানেই সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান তোলে বিজেপি। ভারতীয় সেনাকে অপমান করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলনেতা। অধিবেশন বানচাল হতে বসায় শুভেন্দুকে সাসপেন্ড করেন স্পিকার। তখন বিজেপি বিধায়করা একজোটে অধিবেশন বয়কট করে। শুভেন্দুর অভিযোগ, ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে কুৎসা করেছেন ব্রাত্য বসু। যদিও তা অস্বীকার করেন শিক্ষামন্ত্রী। বিজেপি মিথ্যাচার করছে বলে দাবি করে তৃণমূল। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই আজ ডোরিনা ক্রসিংয়ে ভাষা আন্দোলন নিয়ে সোচ্চার হয় তৃণমূল। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির ভাষা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে তারা। পাল্টা আসরে নেমেছে বিজেপিও। সেনাকে অপমান করা হচ্ছে বলে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে তারা। এই আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণে একটা জিনিস স্পষ্ট। ভোটের আগে ভাষা সন্ত্রাসকে যেমন হাতিয়ার করতে চায় তৃণমূল, তেমনি সেনা আবেগকে সামনে রেখে পাল্টা ঘুঁটি সাজাতে প্রস্তুত বিজেপিও।
দেখুন খবর: